অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্প ঝুঁকি—সচেতনতার আহ্বান ফায়ার সার্ভিসের

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভূমিকম্প ও অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে দেশবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সংস্থাটি বলছে, অসাবধানতাই অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ এবং সামান্য সচেতনতা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঠেকাতে পারে।

আজ (সোমবার, ২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের বিএনসিসির সদস্যদের ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিদূর্ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়। কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল চন্দ্র দাস এবং ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের কর্মকর্তারা।

কর্মশালায় ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কাজের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এছাড়াও অগ্নিদুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ ও অগ্নিনির্বাপনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পাশাপাশি এসব দুর্ঘটনার সময় বিচলিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থানের বিষয়ে এ কর্মশালায় আলোচনা করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘সম্প্রতি ভূমিকম্পের পরে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করছে। ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস থাকে না। তবে আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এসব ক্ষেত্রে। যদি পূর্ব প্রস্তুতি থাকে, তাহলে যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।’

কর্মশালা শেষে বিএনসিসি সদস্যরা ভূমিকম্প ও অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় শীর্ষক একটি মহরায় অংশগ্রহণ করে। পরে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এক বিএনসিসি সদস্য বলেন, ‘যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দুর্ঘটনার সময় হুড়োহুড়ি না করে, শান্তভাবে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হবে। তাহলে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমে আসবে।’